এত সহজে জিতল ইংল্যান্ড!

ব্যাটিং শেষেই কি ওয়ানডে সিরিজে হারের আঁচ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড? হ্যাগলি ওভালে ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ন্যূনতম ২৮৯ রান করে জয়ের রেকর্ড আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডই সেই জয় তুলে নিয়েছিল। কিন্তু আজ একই মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ২২৩। এই সাদামাটা সংগ্রহ যে সিরিজ বাঁচাতে যথেষ্ট নয়, সেটা তো পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার।
কিন্তু পরিসংখ্যানে যে ইঙ্গিতই দিক না কেন, মাঠে লড়াই তো করতে হবে? কেন উইলিয়ামসনের দলের জন্য পরিতাপের বিষয় হলো, ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি তাদের সেই সুযোগটুকু পর্যন্ত দেয়নি! ২০.২ ওভারে জনি বেয়ারস্টো আউট হওয়ার আগে অ্যালেক্স হেলসকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেছেন ১৫৫ রান! জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের তখন দরকার ওভারপ্রতি ৩ রানেরও কম। অর্থাৎ ১৭৮ বলে ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল ইংলিশদের।
মামুলি এই পথটুকু পাড়ি দিতেই ২ উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। হেলস (৬১) ও মরগান (৮) ফিরে গেলে জো রুট ও বেন স্টোকস ১০৪ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় এনে দেন ইংল্যান্ডকে। এর মধ্য দিয়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতল মরগানের দল। এ নিয়ে টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড।
ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডেতে মরগানকে সিরিজ জয়ের স্বাদ এনে দেওয়ার নায়ক বেয়ারস্টো। ৬ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে ৬০ বলে ১০৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। ৫৮ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পথে ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডেতে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিও করেন বেয়ারস্টো। এর আগে ৪৬ ও ৫৩ বলে সেঞ্চুরি রয়েছে যথাক্রমে জস বাটলার ও মঈন আলীর।
সিরিজের আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি (১৩৮) পেয়েছিলেন বেয়ারস্টো। আজ ৩৮ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বাকি ৫০ রান করতে তাঁর লেগেছে মাত্র ২০ বল! মজার ব্যাপার হলো, ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে প্রতিটি সেঞ্চুরিতেই আগেরটার চেয়ে তুলনামূলক কম বল খেলেছেন বেয়ারস্টো। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করতে খেলেছিলেন ৯৭ বল। সেই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষেই পরের সেঞ্চুরিটি এসেছে ৯৭ বলে। এরপর ডুনেডিনে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ৮৬ বলে আর আজ লাগল তার চেয়ে ২৬ বল কম।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড রস টেলরের শূন্যতা টের পেয়েছে। চোট থাকায় তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি কিউই টিম ম্যানেজমেন্ট। চতুর্থ ওয়ানডেতে ম্যাচ জেতানো ১৮১ রানের ইনিংস খেলা টেলরকে ছাড়া ভালোই ভুগেছে কিউই ব্যাটিং অর্ডার। ১০০ তোলার আগেই তারা হারিয়েছে ৬ উইকেট! দুই ফিফটিতে ভর করে দুই শোর্ধ্ব স্কোর পায় তারা। আটে নেমে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন মিচেল স্যান্টনার। ৫৫ রান আসে হেনরি নিকোলাসের ব্যাট থেকে। ৩ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। পাঁচ ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা এ পেসার।

Comments

Popular posts from this blog