‘বাংলাদেশের সেরা দুই টি-টোয়েন্টি যদি হিসাব করা হয় তাহলে এই নিদাহাস ট্রফিতেই দুইটা হবে। মুশফিক যেভাবে আগেরটা জেতালো। কালকে রিয়াদ যেটা করল। কোনও অংশে তামিমের অবদানও কম না, লিটনেরও অবদান ছিল। কাল তামিম আউট না হলে আরও আগে জিততে পারতাম। দুই ম্যাচেই তামিমের বিশাল অবদান আছে’, ভারতের সঙ্গে ফাইনালের আগে বলছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
এই শ্রীলঙ্কাতেই গত বছর টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন মাশরাফি, তাকে ছাড়া টানা ৫ ম্যাচ হারের পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ম্যাচ দিয়েই জয়খরা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ২১৪ রান তাড়া করে জয়, এরপর অনেক নাটকের জন্ম দিয়ে রোমাঞ্চকর জয়, লক্ষ্য এবার ফাইনাল। ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারত এ টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সেরা দল। কোহলি-ধোনিদের ছাড়াও তারা রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
৯০, ৫৫, ৮, ৩৫ রানের ইনিংস খেলা শিখর ধাওয়ানের দারুণ শুরুর দিকে তাকিয়ে থাকবে ভারত। হারানো ফর্মটা শেষ ম্যাচে ফিরে পেয়েছেন রোহিত শর্মাও, ৬ ইনিংসে ৬০ রানের পর এক ইনিংসেই করেছেন ৮৯ রান। ৪ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন সুন্দর, ৫.৮৫ ইকোনমিতে। ৫ উইকেট নেওয়া চাহালও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন বেশ।
ফাইনালে জিততে মাশরাফির টোটকা রোহিত-ধাওয়ানের উইকেট দ্রুত নেওয়া, সঙ্গে দুই স্পিনারকে সামলানো, ‘ওখানে যারা কোচ আছে, সিনিয়র ক্রিকেটার আছে, সবাই একটা পরিকল্পনা নিশ্চয়ই করবে। আমার কাছে মনে হয় রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ান- এই দুইটা উইকেট যদি আমরা দ্রুত নিতে পারি, তাহলে ম্যাচটা আমাদের হাতে থাকবে। একই সঙ্গে যুঝভেন্দ্র চাহাল ও ওয়াশিংটন সুন্দরকে ঠিকভাবে সামলানোর ওপরও নির্ভর করছে। এই চারজন ক্রিকেটার নিয়ে পরিকল্পনা করলে আমাদের দিকে ম্যাচটা আসতে পারে।’
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শেষ ম্যাচটা শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহর চারের পরই বাংলাদেশ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে বলেও ধারণা তার, ‘৪ বলে যখন ১২ লাগবে। তখন রিয়াদ প্রথম চারটা মারল। তখন মনে হয়েছে সম্ভব। তার আগে নো বলটা আমাদের পক্ষে আসতে পারত। তারপর রিয়াদ যেভাবে খেলেছে অসাধারণ। ১৮ বলে ৪৩। প্রথম থেকে এসেই যেভাবে আক্রমণ করেছে ওটা ছিল দারুণ। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আসলে এরকম একজনকে খেলতে হয়। প্রতিদিন রিয়াদ খেলবে না, কাউকে না কাউকে খেলতে হবে।’

Comments

Popular posts from this blog